গঙ্গাসাগরে পূণ্যস্নান শুরু হল

গঙ্গাসাগর থেকে শুভ ঘোষের রিপোর্ট 

কথায় আছে, 'সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার'। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এই তীর্থস্থান। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। মেলায় বহু মানুষের আনাগোনাকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। কুম্ভ মেলা পরে গোটা গঙ্গাসাগরেই কোনও একটি উত্‍সব উপলক্ষ্যে এত মানুষের সমাগম হয়। গত বুধবার নিজে গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৪ই জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৫৩ মিনিটে পূর্ণ স্থান শুরু হবে, আগামীকাল ১৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৫৩ মিনিট পর্যন্ত গঙ্গা স্থান চলবে, ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী পুণ্য স্থানের উদ্দেশ্যে গঙ্গাসাগর মেলা হাজির হয়েছেন।

আজ গঙ্গাসাগর সাংবাদিক বৈঠক উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মাননীয় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রানীল সেন, মাননীয় জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাসিস চক্রবর্তী, অনেক বিশিষ্ট অতিথিবর্গ উপস্থিত ছিলেনI

কথায় আছে, 'সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার'। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এই তীর্থস্থান। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। মেলায় বহু মানুষের আনাগোনাকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করার চেষ্টা করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। কুম্ভ মেলা পরে গোটা গঙ্গাসাগরেই কোনও একটি উত্‍সব উপললক্ষ্যে এত মানুষের সমাগম হয়। গত বুধবার নিজে গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় I

পুরাণ অনুসারে অযোধ্যার ইক্ষাকু বংশের রাজা সাগরের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া চুরি করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র। গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে সেগুলি তিনি লুকিয়ে রাখেন। সেই ঘোড়া খুঁজতে এসে কপিল মুনির রোষের মুখে পড়েন সাগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র। প্রচণ্ড তেজে তাঁদের ভষ্ম করে দেন কপিল মুনি। এরপর সাগর রাজার নাতি স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে আসেন। সেই পূণ্যজলের স্পর্শে প্রাণ ফিরে পান সাগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র।

কথিত আছে, মকর সংক্রান্তিতেই গঙ্গাসাগরে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নামেন গঙ্গা। স্বর্গের নদী গঙ্গায় তীব্র গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে পৃথিবী ভেসে যাবে, এই আশঙ্কা করে মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করেন ভগীরথ। তখন শিব তাঁর জটায় গঙ্গাকে ধারণ করেন এবং একটু একটু করে সেই জল ছাড়তে থাকেন তিনি। সেই কারণে শিবের জটায় গঙ্গার অবস্থান। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে স্নান করলে যাবতীয় পাপ থেকে মুক্তি হয়I

Comments